সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-২০ ফরম্যাটে নিজেদের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২০৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারে ১০৭ রান তুলে চোখ রাঙাচ্ছিল স্বাগতিক আমিরাত। মিডল ওভারে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরলেও এক বল থাকতে ২ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে মোহাম্মদ ওয়াসেমের দল।
এই হারে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ সমতায় দাঁড়াল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ মে মাঠে গড়াবে। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল আমিরাতের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ১৮তম ওভারে নাহিদ রানা ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ২ ওভারে দাঁড়ায় ২৯। শরিফুল ১৯তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে দলকে জয়ের আশা দেন। কিন্তু পরের পাঁচ বলে ১৭ রান দিয়ে বসেন তিনি। এর মধ্যে নিজের ওভারের শেষ বলে ওভারথ্রো করে দেন ৫ রান।
ওখানেই ম্যাচ টাইট হয়ে যায়। শেষ ওভারে আটকানোর জন্য তানজিদ সাকিবের জন্য মাত্র ১২ রান থাকে। তিনি প্রথম বল ওয়াইড ও দ্বিতীয় বলে ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে বসেন। পরের বলে উইকেট নেন। চতুর্থ বলে দেন ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বল নো দিয়ে ম্যাচ হেরে বসেন।
শারজাহ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে বড় রানের ভিত্তি পায়। অধিনায়ক লিটন দাস ও তানজিদ তামিম ৯.১ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন। তানজিদ ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান। তিনি আটটি চার ও তিনটি ছক্কার শট মারেন। অন্য ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংস আসে। তিনি এদিন তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন।
রান পান পরের দুই ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। এর মধ্যে ইমনের জায়গায় একাদশে ঢুকে শান্ত ১৯ বলে ২৭ রান করেন। তিনি দুটি চারের সঙ্গে একটা ছক্কা তোলেন। হৃদয় খেলেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। তার ২৪ বলে সাজানো ইনিংসে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের শট ছিল।
জবাবে নেমে ভালো শুরুর পর আমিরাত ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব ৩৪ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান। পরের ব্যাটাররা বড় রান করতে না পারলেও চারে নামা আসিফ খান ১২ বলে ১৯, পাঁচে নামা আলিশান শারাফু ৯ বলে ১৩ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তাদের ইনিংস জুড়ে ছিলেন আমিরাতের অধিনায়ক ও ওপেনার ওয়াসেম। তিনি ৪২ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে নয়টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা আসে। শেষে হায়দার আলী ৬ বলে ১৫ রান করে বাংলাদেশকে হারান।
বাংলাদেশের পেসাররা খুব খরুচে ছিলেন। বিশেষ করে তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানা সুবিধাই করতে পারেননি। তানজিম নিজের প্রথম ৩ ওভারে ৪৩ রান খরচা করেন। নাহিদ শুরুর ৩ ওভারে দেন ৪৪ রান। ৪ ওভার শেষ করেন ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে। বাঁ হাতি পেসার শরিফুল শুরুর ৩ ওভারে ১৭ রান দিলেও ৪ ওভার শেষ করেন ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে। ওই তুলনায় দুই স্পিনার কিছুটা ভালো করেছেন। তানভীর ৪ ওভারে ৩৭ রান দেন। রিশাদ ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এএজে